মনিরুজ্জামান ফকির স্যার একজন দিকদ্রষ্টা হিসেবে আমাদের নিয়ে যাবেন স্বপ্নের পথে!!
"পরিচ্ছন্ন সরাইল,সুস্থ সরাইল" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে একঝাঁক উদ্যমী ও সাহসী তরুণদের নিয়ে সরাইলকে পরিচ্ছন্ন রাখার অভিযানে নেমে পড়েন সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মনিরুজ্জামান ফকির।
মনিরুজ্জামান ফকির স্যার নিজ হাতে ময়লা পরিষ্কার করছেন। |
ময়লা পরিষ্কার করছেন সেবানন্দের এডমিন নাহিদ। |
ময়লা পরিষ্কারের একপর্যায়ে সেবানন্দের সিনি. এডমিন জাকির হোসাইন। |
সেবানন্দের ভলান্টিয়ার বিল্লাল ও ফয়েজ ড্রামে করে ময়লা ফেলছেন |
এই রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা কেন প্রয়োজন এর একটু বিশ্লেষণে যাওয়া দরকার। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন,
"ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকনা বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।"
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।"
"আমি ভালো থাকা মানে বাংলাদেশ ভালো থাকা, আমি থমকে থাকা মানে, বাংলাদেশ থমকে থাকা। আমি খারাপ কিছু করা মানে, বাংলাদেশের খারাপ হওয়া।"
আমরা যদি প্রত্যেকে নিজেদের গ্রাম/শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি তাহলে পরিষ্কার থাকবে গোটা বাংলাদেশ।
এ এস পি স্যারের সাথে সেলফি তুলছেন সেবানন্দের ভলান্টিয়ার আকতার এবং রাশেদ। |
রাজিব |
তফছির ও রাশেদ |
সেবানন্দ সংগঠনের ভলান্টিয়াররা যখন ড্রাম বসানোতে ব্যস্ত।
জন্মভূমি বাংলাদেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ধারুণ একটি একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র।
মূলত ওনার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আমাদের সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মনিরুজ্জামান ফকির স্যার সরাইলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সরাইলের স্বেচ্ছাসেবী সমাজসেবা সংগঠন "সেবানন্দ" সহ বেশ কয়েকটি সংগঠনকে আহবান করে এবং সরাইলের সর্বস্থরের জনগণসহ প্রত্যেকটি সংগঠনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গত শুক্রবার ২৭-০৪-২০১৮ তে সরাইলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের অভিযানটি সফল করেন। তিনি একটি সমৃদ্ধ ও সুখী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে যা যা করা প্রয়োজন তিনি ততটুক করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
সরাইলকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ২৮ টি পয়েন্টে ড্রাম বসানো হয়। সেবানন্দ সংগঠন ১০ টি, আত্মতা ৪ টি, পরিবর্তন চাই ৮ টি এবং আলোর মিছিল ৬ টি ড্রাম দেয়।
সেবানন্দ সংগঠনের চীফ এডমিন জাকির হোসাইন পরিচ্ছন্ন অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল সংগঠন ও জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,
"আমরা সবাই যেন ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করি এবং খারাপ কাজের প্রতিযোগিতা যেন কোন সময়ই না করি। সর্ব প্রকার হিংসা, বিদ্বেষ ও বিবাদ ভুলে আমরা প্রত্যেকটি সংগঠন হাতে হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের সমাজের উন্নয়নমুলক কাজ করব ইনশাআল্লাহ।"
মনিরুজ্জামান ফকির স্যার এই মহৎ উদ্যোগটি সফল করার জন্যে সেবানন্দ সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটি সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
মনিরুজ্জামান ফকির স্যারের মতো এভাবে যদি উচ্চ শ্রেণীর ব্যক্তিরা ব্যক্তিস্বার্থ বাদ রেখে নিজেকে নিঙরে দিয়ে সমাজসেবায় এগিয়ে আসেন তাহলে সেই সোনার বাংলাদেশ খুব বেশি দূরে নয় যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যত্রতত্র ময়লা ফেলবেন না। কারণ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ কোন ডাস্টবিন না।
আর হ্যাঁ, স্যারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, একটাই আবেদন তিনি গুনে ধরা এই সমাজটাকে পরিবর্তন করে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াতে অবদান রাখবেন যেমনটা রাখছেন আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত ডি আই জি পিপিএম (বার) মিজানুর রহমান স্যার। যিনি অলরেডি তার সামাজিক উন্নয়মূলক কাজের জন্য, গরীব দঃখীদের পাশে থাকার জন্য মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন।
পরিশেষে মনিরুজ্জামান ফকির স্যারকে একটাই কথা বলবো।
আমরা তরুণরা দিকভ্রান্ত পথিক যারা পথ চেনে না কিন্তু পথ তৈরি করার স্বপ্ন দেখে এবং ক্ষমতাও রাখে। আমাদের শুধু প্রয়োজন একজন দিকদ্রষ্টার। আপনি আমাদেরদের দিকদ্রষ্টা হিসেবে আমাদের স্বপ্নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই আমাদের প্রত্যাশা আপনার কাছে।
No comments